দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল-মানচিত্রে বাংলাদেশের কিশোরেরা সেরা হতে পারে, কিন্তু এশীয় ফুটবলে এখনো অনেক পেছনে। চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইপর্বের উদ্বোধনী ম্যাচটা। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে যে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১০ জনের বাংলাদেশ ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত সৌদি আরবের কাছে।
শেষ ৯ মিনিটে প্রায় দাঁড়িয়ে পড়া বাংলাদেশ খেয়েছে ৩ গোল। তাদের গুটিয়ে যাওয়ার শুরু আসলে ৬০ মিনিট থেকেই। অথচ এর আগ পর্যন্ত অনুমান করা যায়নি স্কোরলাইন এত বড় হচ্ছে। সর্বনাশটা করেছে ৫০ মিনিটে গোলরক্ষক ফয়সালের লাল কার্ড। বক্সের বাইরে এসে সৌদি এক খেলোয়াড়কে আটকানোর শাস্তিস্বরূপ ইরাকের রেফারি দিলেন লাল কার্ড। এটিই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
শেষ ৯ মিনিটে প্রায় দাঁড়িয়ে পড়া বাংলাদেশ খেয়েছে ৩ গোল। তাদের গুটিয়ে যাওয়ার শুরু আসলে ৬০ মিনিট থেকেই। অথচ এর আগ পর্যন্ত অনুমান করা যায়নি স্কোরলাইন এত বড় হচ্ছে। সর্বনাশটা করেছে ৫০ মিনিটে গোলরক্ষক ফয়সালের লাল কার্ড। বক্সের বাইরে এসে সৌদি এক খেলোয়াড়কে আটকানোর শাস্তিস্বরূপ ইরাকের রেফারি দিলেন লাল কার্ড। এটিই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
বাংলাদেশ ১: ৫ সৌদি আরব
এর আগ পর্যন্ত সৌদি আরবের মতো শক্তিশালী দলকে ভালোভাবেই আটকে রেখেছিল ঘরের ছেলেরা। ঘর সামলে আক্রমণে উঠে গোল পাওয়ার লক্ষ্যও পূরণ। সেটিও ম্যাচের প্রথম গোল! ২৯ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে বল পেল স্ট্রাইকার সারোয়ার জামান নিপু। সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের ফাইনালে কিশোরগঞ্জের চটপটে কিশোরটি খেলতে পারেনি দুই হলুদ কার্ডের খড়্গে। সেই নিপু সবাইকে চমকে দিয়ে দারুণ শটে ১-০ করতেই উজ্জীবিত বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল, সাফ চ্যাম্পিয়ন দলটি আবারও বড় কিছু করে ফেলতে পারে!
কিন্তু টেকনিক, ট্যাকটিকস ও গতিতে সৌদি আরব অনেক এগিয়ে। সেই প্রমাণ রেখে ম্যাচে ফিরতে দলটি সময় নিয়েছে মাত্র ১১ মিনিট। জটলার মধ্যে অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার আলমাস এনে ফেলে সমতা। ১-১ গোলে বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশ দলের বাঁধনটা আলগা হতে থাকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। ৫৬ মিনিটে ডিফেন্ডারদের ঢিলেমির সুযোগে তারিকের শটে ২-১। এরপর বাংলাদেশ দলের মাঝমাঠ আছে বলে আর মনে হয়নি। একমাত্র স্ট্রাইকার নিপুকে তাই বলের জন্য শুধু অপেক্ষাই করে যেতে হয়েছে।
সৌদি আরব জায়গা বড় করে মাঠজুড়ে খেলেছে প্রায় গোটা ম্যাচেই। এরপর কিন্তু গোলের সুযোগও নষ্ট করছিল অনেক। ৮২ মিনিটে পেনাল্টিতে তৃতীয় গোল এনে দেয় মিডফিল্ডার মালি। ৮৪ মিনিটে সুলায়মানের চতুর্থ এবং ৯০ মিনিটে শেষ গোল আল আবদানের। শেষ দুটি গোল একরকম উপহারই, বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে জমা দেওয়ার খেসারত।
বাংলাদেশ কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী জয়ের আশা করেননি বাস্তব কারণেই। কিন্তু হারলেও ৫ গোল মানতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে, ‘শেষ ৩টি গোল হওয়া উচিত ছিল না। আসলে লাল কার্ডটাই আমাদের সর্বনাশ করেছে। ছেলেরা স্নায়ুটা ঠিক রাখতে পারেনি।’
৫ গোলের বড় জয় পেয়ে খুশি সৌদি আরবের কোচ আবদুল্লাহ আবদালি। বাংলাদেশ দলের প্রশংসাও করলেন, ‘ওরা অনেক ভালো ফুটবল খেলেছে।’ বারবার বললেন, এ দলটিকে পরিচর্যা করলে সামনে অনেক ভালো করবে। তবে কালকের ৫ গোল আগামীকাল আরব আমিরাতের সামনে দাঁড়ানোর আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাসে একটা ধাক্কাই।
কিন্তু টেকনিক, ট্যাকটিকস ও গতিতে সৌদি আরব অনেক এগিয়ে। সেই প্রমাণ রেখে ম্যাচে ফিরতে দলটি সময় নিয়েছে মাত্র ১১ মিনিট। জটলার মধ্যে অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার আলমাস এনে ফেলে সমতা। ১-১ গোলে বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশ দলের বাঁধনটা আলগা হতে থাকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। ৫৬ মিনিটে ডিফেন্ডারদের ঢিলেমির সুযোগে তারিকের শটে ২-১। এরপর বাংলাদেশ দলের মাঝমাঠ আছে বলে আর মনে হয়নি। একমাত্র স্ট্রাইকার নিপুকে তাই বলের জন্য শুধু অপেক্ষাই করে যেতে হয়েছে।
সৌদি আরব জায়গা বড় করে মাঠজুড়ে খেলেছে প্রায় গোটা ম্যাচেই। এরপর কিন্তু গোলের সুযোগও নষ্ট করছিল অনেক। ৮২ মিনিটে পেনাল্টিতে তৃতীয় গোল এনে দেয় মিডফিল্ডার মালি। ৮৪ মিনিটে সুলায়মানের চতুর্থ এবং ৯০ মিনিটে শেষ গোল আল আবদানের। শেষ দুটি গোল একরকম উপহারই, বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের পায়ে জমা দেওয়ার খেসারত।
বাংলাদেশ কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী জয়ের আশা করেননি বাস্তব কারণেই। কিন্তু হারলেও ৫ গোল মানতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে, ‘শেষ ৩টি গোল হওয়া উচিত ছিল না। আসলে লাল কার্ডটাই আমাদের সর্বনাশ করেছে। ছেলেরা স্নায়ুটা ঠিক রাখতে পারেনি।’
৫ গোলের বড় জয় পেয়ে খুশি সৌদি আরবের কোচ আবদুল্লাহ আবদালি। বাংলাদেশ দলের প্রশংসাও করলেন, ‘ওরা অনেক ভালো ফুটবল খেলেছে।’ বারবার বললেন, এ দলটিকে পরিচর্যা করলে সামনে অনেক ভালো করবে। তবে কালকের ৫ গোল আগামীকাল আরব আমিরাতের সামনে দাঁড়ানোর আগে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাসে একটা ধাক্কাই।
No comments:
Post a Comment