বিগত দুই বছর ধরে স্যামসাং স্মার্টফোনের ব্যবসায় ভিন্ন স্বাদ দিয়ে চলেছে। অ্যাপলের আইফোন ৬ এবং ৬ প্লাস আসার পরও স্যামসাং দিব্যি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চলেছে। অনেকেই অ্যান্ড্রয়েড থেকে আইওএস অপারেটিংয়ে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ জিম এডওয়ার্ড বলছেন, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৬ এজ হাতে আসার পর তার আর কোনদিন অন্য কোনো ফোন দরকার হবে না।
ক্রেতারা সর্বপ্রথম স্যামসাংয়ের বড় ফোন দেখে যখন নোট সিরিজ বাজারে আসে। ২০১১ সালে কেউ এমন প্রযুক্তি পণ্য আর দেখেননি। ট্যাব আর স্মার্টফোনের মধ্যকার ঘোলাটে পার্থক্যটা দূর করে দেয় নোট। ইতিমধ্যে গ্যালাক্সি নোট ৫ সবচেয়ে শক্তিশালী ফ্যাবলেটে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ লিখেছেন, নোটের প্রাথমিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে গ্যালাক্সি এস৬ এজ এবং এস৬ এজ প্লাস। স্যামসাং এজ মডেলের মাধ্যমে কার্ভড পর্দার যে সংস্করণ এনেছে, তা সত্যিই মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম। খুব সাধারণ মতে বিবেচনা করতে পারেন প্রযুক্তিবিদরা। কিন্তু বস্তুটি যখন হাতে আসে, তখন একে পৃথিবীর সবচেয়ে নজরকাড়া স্মার্টফোন বলেই মনে হয়। এজ-এর দুই পাশের বাঁকানো স্ক্রিনের মাধ্যমে বিশেষ নোটিফিকেশন পাওয়া যায়। এটি হাতে নিলে এতটাই নিখুঁত মনে হয় যা সত্যিই ডিজাইনারের জাদু বলে বিবেচনা করা যায়। এর ফিচার বা পারফরমেন্স নিয়ে গবেষণা করলে অনেকের অনেক মত পাওয়া যাবে। কিন্তু এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, এমন একটি দারুণ স্মার্টফোন হাতে আসলে আর অন্য কোনো ফোনের প্রয়োজন নেই।
এজ-এর পর্দাটি অনেকটা আইফোনের স্মার্ট ঘড়ির মতো। আইফোনের ঘড়িটি যে এর নোটিফিকেশন প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম, তা মানুষের বুঝতে বেশ সময় লেগে গেছে। এদিকে, এজের দুই পাশের কার্ভড পর্দা এ কাজটি করে দিচ্ছে।
মূলত অ্যাপল একটা ক্রেজ। এস৬ এজ-এর মতো একটি ফোন যদি অ্যাপল আনতো, তাহলে মানুষের পাগলামী হতো দেখার মতো। কিন্তু স্যামসাং আনাতে প্রশংসিত হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এর অভাবনীয় ডিজাইন এবং সফলতা পাগলামিতে পরিণত হয়নি। তাই গ্যালাক্সি এজ যত পুরনোই হয়ে যাক না কেন, এর নজরকাড়া ডিজাইনকে টেক্কা দেওয়া যে খুব কঠিন কাজ হবে তা বলার অপেক্ষা লাগে না।
No comments:
Post a Comment