তিন বলে ৭ রান করলেই জয়। টানটান উত্তেজনা কানপুরে। এম এস ধোনি ক্রিজে। রাবাদা বোলার। প্রথম তিন বলে ৪ রান। চতুর্থ বলে রাবাদাকে মারতে গিয়ে ধোনি বল তুললেন আকাশে। বোলার নিজেই ক্যাচ নিয়ে উল্লাসে মাতলেন। পরের বলে আরো একটি উইকেট। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ততক্ষণে বুঝে গেছে রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে জয়টা তাদেরই। ৫ রানে প্রথম ওয়ানডে জিতে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে লিড নিলো সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। বিফলে গেলো রোহিত শর্মার ১৫০ রানের ইনিংস। আগে ব্যাট করে এবি ডি ভিলিয়ার্সের অপরাজিত ১০৪ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ৩০৩ রান করে প্রোটিয়ারা। জবাবে, ৭ উইকেটে ২৯৮ রানে থেমে স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেঞ্চুরি করেছিলেন প্রথম ম্যাচেই। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সাবলীল এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন রোহিত। তার ক্যারিয়ারের অষ্টম এটি। ৯৮ বলে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় শতক হাঁকিয়েছেন তিনি। কানপুরের প্রথমবারের মতো তিন শ হলেও রোহিতের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথেই ছিল ভারত। ২০ ওভারের ম্যাচের ফর্মটা নিয়ে এসেছেন ৫০ ওভারেও। টার্গেট তাড়া করতে ওপেন করতে নামেন। শিখর ধাওয়ান ২৩ রান করে আউট হলেন। কিন্তু অবিচল রোহিত। আজিঙ্কা রাহানের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪৯ রানের জুটি গড়েছেন। রাহানের অবদান যেখানে ৬০ রানের। বাকিটা রোহিতের। কোহলির সাথে জুটি বাঁধার কিছুক্ষণের মধ্যে পেয়ে যান সেঞ্চুরি। রোহিতের ইনিংসটা ছিল দারুণ নৈপুণ্যে গড়া। প্রোটিয়া বোলারদের সমীহ করে খেলেছেন। আবার কখনো কখনো একদমই পাত্তা দেননি। হঠাৎ করেই নেমে এসেছেন উইকেটে। চার বা ছক্কায় বোলারকে আছড়ে ফেলেছেন। ইনিংসের শুরু থেকে যে সম্ভাবনা দেখাচ্ছিলেন, সেটিকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে পূর্ণতা দেন ২৮ বছরের রোহিত।
কোহলি ও রোহিত দলকে নিয়ে যান ২১৪ পর্যন্ত। এরপর ধোনির সাথে জুটি বাঁধেন রোহিত। কিন্তু ক্যারিয়ারের তৃতীয় ১৫০ রানের ইনিংস খেলার পর থামতে হয়। মূল্যবান উইকেটটি নিয়েছেন লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। নিজের বলেই ফিল্ডিং করে ক্যাচ নিয়েছেন। ১৩৩ বলে ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১৫০ রান রোহিতের। তার আউটের পর ২৩ বলে ৩৫ রান দরকার ভারতের জিততে। কিন্তু সুরেশ রাইনা একই ওভারে আউট। এক প্রান্ত ধরে ধোনি চেষ্টা করে গেছেন। ১৮ বলে ৩১, ১২ বলে ২২ পেরিয়ে শেষে ৬ বলে ১১ রানের হিসেব দাঁড়ায়। কিন্তু পারেননি ধোনি। ৩০ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৩১ রান করে ঘাটের কাছে এসে ডুবিয়ে দিয়ে গেছেন ভারতের নৌকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ৪৮ ওভার শেষ। এবি ডি ভিলিয়ার্সের রান ৮০। ৪৯তম ওভারটি পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের। প্রথম বলে ১ রান নিয়ে ফারহান বেহারদিন স্ট্রাইক দিলেন ডি ভিলিয়ার্সকে। পরের দুই বলেই ছক্কা মারলেন ডি ভিলিয়ার্স। চতুর্থ বলটি ডট। পঞ্চম বলে দুই রান। ষষ্ঠ বলে বাউন্ডারি। ডি ভিলিয়ার্সের রান ৯৮। উমেষ যাদবের করা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি, তৃতীয় বলে ছক্কা মারলেন ফারহান। চতুর্থ বলে ১ নিয়ে ব্যাট করতে দিলেন ডি ভিলিয়ার্সকে। পঞ্চম বলটি ডট। সেঞ্চুরি হবে না ২ রানের জন্য! শেষ বলকে লং অনের ওপর থেকে ছক্কা মারলেন ডি ভিলিয়ার্স। হলো তার ২১তম সেঞ্চুরি। আর কানপুরের মাঠে প্রথম কোনো দল ৩০০র বেশি রান করলো।
শেষ ৪.৫ ওভারে ৬৫ রান তুলেছেন ডি ভিলিয়ার্স ও ফারহান। তাদের অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটি ৬৫ রানেরই, ইনিংস সর্বোচ্চ জুটি। ৭৩ বলে ৬টি ছক্কা ও ৫টি চারে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন ডি ভিলিয়ার্স। আর ১৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ফারহান।
টস জিতে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম জুটিতে পায় ৪৫ রান। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দারুণ সফল কুইন্টন ডি কক এদিন অবশ্য বেশি রান করতে পারেননি। ২৯ রান করে অশ্বিনের শিকার হয়েছেন। বড় জুটি গড়তে দেননি ভারতীয় বোলাররা। কিন্তু নিয়মিত সাফল্যও পাননি। হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসিস ৫৯ রানের জুটি গড়েছেন। আমলা ৩৭ রান করে অমিত মিশ্রার শিকার হয়েছেন।
২৪তম ওভারে ২ উইকেটে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ১০৪ রান। খুব ভালো নয়। ওখান থেকে হাল ধরেন ডি ভিলিয়ার্স। শুরু থেকে নিজের ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। খুব বেশি বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করেননি। ডু প্লেসিসের সাথে ৪৮ ও ডেভিড মিলারের সাথে তার ৪৫ রানের জুটি হয়েছে। বড় জুটি হয়নি। ডু প্লেসিস হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তবে ৭৭ বলে ৬২ রান করে যাদবের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হয়েছেন। পঞ্চম উইকেটে ডি ভিলিয়ার্স ও জেপি ডুমিনি ৪১ রানের জুটি গড়েছেন। ডুমিনি করেন ১৫ রান। এরপর ফারহানের সাথে শেষ সময়ে ঝড় তোলেন ডি ভিলিয়ার্স। ওই দুজনের ব্যাটিংয়েই তিন শ রানের মাইলফলক পার হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেঞ্চুরি করেছিলেন প্রথম ম্যাচেই। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও সাবলীল এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন রোহিত। তার ক্যারিয়ারের অষ্টম এটি। ৯৮ বলে ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় শতক হাঁকিয়েছেন তিনি। কানপুরের প্রথমবারের মতো তিন শ হলেও রোহিতের ব্যাটে ভর করে জয়ের পথেই ছিল ভারত। ২০ ওভারের ম্যাচের ফর্মটা নিয়ে এসেছেন ৫০ ওভারেও। টার্গেট তাড়া করতে ওপেন করতে নামেন। শিখর ধাওয়ান ২৩ রান করে আউট হলেন। কিন্তু অবিচল রোহিত। আজিঙ্কা রাহানের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪৯ রানের জুটি গড়েছেন। রাহানের অবদান যেখানে ৬০ রানের। বাকিটা রোহিতের। কোহলির সাথে জুটি বাঁধার কিছুক্ষণের মধ্যে পেয়ে যান সেঞ্চুরি। রোহিতের ইনিংসটা ছিল দারুণ নৈপুণ্যে গড়া। প্রোটিয়া বোলারদের সমীহ করে খেলেছেন। আবার কখনো কখনো একদমই পাত্তা দেননি। হঠাৎ করেই নেমে এসেছেন উইকেটে। চার বা ছক্কায় বোলারকে আছড়ে ফেলেছেন। ইনিংসের শুরু থেকে যে সম্ভাবনা দেখাচ্ছিলেন, সেটিকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে পূর্ণতা দেন ২৮ বছরের রোহিত।
কোহলি ও রোহিত দলকে নিয়ে যান ২১৪ পর্যন্ত। এরপর ধোনির সাথে জুটি বাঁধেন রোহিত। কিন্তু ক্যারিয়ারের তৃতীয় ১৫০ রানের ইনিংস খেলার পর থামতে হয়। মূল্যবান উইকেটটি নিয়েছেন লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। নিজের বলেই ফিল্ডিং করে ক্যাচ নিয়েছেন। ১৩৩ বলে ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১৫০ রান রোহিতের। তার আউটের পর ২৩ বলে ৩৫ রান দরকার ভারতের জিততে। কিন্তু সুরেশ রাইনা একই ওভারে আউট। এক প্রান্ত ধরে ধোনি চেষ্টা করে গেছেন। ১৮ বলে ৩১, ১২ বলে ২২ পেরিয়ে শেষে ৬ বলে ১১ রানের হিসেব দাঁড়ায়। কিন্তু পারেননি ধোনি। ৩০ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৩১ রান করে ঘাটের কাছে এসে ডুবিয়ে দিয়ে গেছেন ভারতের নৌকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ৪৮ ওভার শেষ। এবি ডি ভিলিয়ার্সের রান ৮০। ৪৯তম ওভারটি পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের। প্রথম বলে ১ রান নিয়ে ফারহান বেহারদিন স্ট্রাইক দিলেন ডি ভিলিয়ার্সকে। পরের দুই বলেই ছক্কা মারলেন ডি ভিলিয়ার্স। চতুর্থ বলটি ডট। পঞ্চম বলে দুই রান। ষষ্ঠ বলে বাউন্ডারি। ডি ভিলিয়ার্সের রান ৯৮। উমেষ যাদবের করা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি, তৃতীয় বলে ছক্কা মারলেন ফারহান। চতুর্থ বলে ১ নিয়ে ব্যাট করতে দিলেন ডি ভিলিয়ার্সকে। পঞ্চম বলটি ডট। সেঞ্চুরি হবে না ২ রানের জন্য! শেষ বলকে লং অনের ওপর থেকে ছক্কা মারলেন ডি ভিলিয়ার্স। হলো তার ২১তম সেঞ্চুরি। আর কানপুরের মাঠে প্রথম কোনো দল ৩০০র বেশি রান করলো।
শেষ ৪.৫ ওভারে ৬৫ রান তুলেছেন ডি ভিলিয়ার্স ও ফারহান। তাদের অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটি ৬৫ রানেরই, ইনিংস সর্বোচ্চ জুটি। ৭৩ বলে ৬টি ছক্কা ও ৫টি চারে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন ডি ভিলিয়ার্স। আর ১৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ফারহান।
টস জিতে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম জুটিতে পায় ৪৫ রান। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে দারুণ সফল কুইন্টন ডি কক এদিন অবশ্য বেশি রান করতে পারেননি। ২৯ রান করে অশ্বিনের শিকার হয়েছেন। বড় জুটি গড়তে দেননি ভারতীয় বোলাররা। কিন্তু নিয়মিত সাফল্যও পাননি। হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসিস ৫৯ রানের জুটি গড়েছেন। আমলা ৩৭ রান করে অমিত মিশ্রার শিকার হয়েছেন।
২৪তম ওভারে ২ উইকেটে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ১০৪ রান। খুব ভালো নয়। ওখান থেকে হাল ধরেন ডি ভিলিয়ার্স। শুরু থেকে নিজের ইনিংস গড়ার চেষ্টা করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। খুব বেশি বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করেননি। ডু প্লেসিসের সাথে ৪৮ ও ডেভিড মিলারের সাথে তার ৪৫ রানের জুটি হয়েছে। বড় জুটি হয়নি। ডু প্লেসিস হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তবে ৭৭ বলে ৬২ রান করে যাদবের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হয়েছেন। পঞ্চম উইকেটে ডি ভিলিয়ার্স ও জেপি ডুমিনি ৪১ রানের জুটি গড়েছেন। ডুমিনি করেন ১৫ রান। এরপর ফারহানের সাথে শেষ সময়ে ঝড় তোলেন ডি ভিলিয়ার্স। ওই দুজনের ব্যাটিংয়েই তিন শ রানের মাইলফলক পার হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
No comments:
Post a Comment