ফেরার রূপকথা গড়ে মালিকের ডাবল সেঞ্চুরি - All Technology

This is a Technology Blog site.If you have a desire to learn, but a repository of knowledge for you to this page.Now that the technology will continue to become more self-reliant development of the last corner.I will attempt to present something new for everyone.

Recent Posts

Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Wednesday, October 14, 2015

ফেরার রূপকথা গড়ে মালিকের ডাবল সেঞ্চুরি

দুই ওভার আগে ১৯৫ রানে দাঁড়িয়ে ছিলেন শোয়েব মালিক। জেমস অ্যান্ডারসনের ওভারটা মেডেন দিলেন। রান নিলেন না। রান নেয়ার চেষ্টাও করেন নি এতটুকু। এই যে ধৈর্য্য; তার পুরস্কারই পেলেন শোয়েব মালিক। নিজেকে উপহার দিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। আবু ধাবিতে আজ পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন মালিক। ৫ বছরের বেশি সময় পর টেস্টে ফিরেই দ্বিশতক! চোখ কপালে ওঠার মতোই কাজ করে দেখিয়েছেন মালিক। কতোটা অধ্যাবসায় থাকলেই না এমন কীর্তি গড়া যায়!
হোক ডাবল সেঞ্চুরি। কিন্তু সেটা তো ব্যক্তিগত অর্জন। দলের জন্য কি থাকলো? এই প্রশ্ন করলেও পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে মালিকের অবদান আসবে সবার আগে। প্রথম দিনের তৃতীয় ওভারে খেলতে নেমেছেন। আর ডাবল গড়েছেন ১৩৫তম ওভারে। যে অ্যান্ডারসনকে খেলেন নি তখন, সেই তাকে দুই রান বানিয়ে ২০১ রানে পৌছে যান মালিক। ৩৬৭ বল খেলেছেন। বাউন্ডারি মেরেছেন ২১টি। ওভার বাউন্ডারি ২টি। দলকে আগের দিন উপহার দিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজের সাথে ১৬৮ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। ৭৪ রানের পার্টনারশিপ তৃতীয় উইকেটে করেছিলেন ইউনিস খানের সাথে। আর প্রথম দিনে আসাদ শফিকের সাথে পঞ্চম উইকেটে জুটি বাধেন। সেই জুটি এই রিপোর্ট লেখার সময় ২০০ পেরিয়ে গেছে। শফিকও পেয়েছেন সেঞ্চুরি। দল পৌছেছে ৫০০ রানের কাছে। মালিকও রান বাড়াচ্ছেন। 
৫ রানে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের প্রথম উইকেটের পতন হয়। সেখান থেকে দলের প্রতিরোধের গল্পটা লিখেছেন মালিক। প্রথম দিন শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ৪ উইকেটে ২৮৬। ১২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মালিক।
এই সেঞ্চুরিটি ৩৩তম টেস্টে মালিকের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এক সময় টেস্টে নিজের সেরা অপরাজিত ১৪৮ রানও পেরিয়ে যান। ১৫০ রান করেন প্রথমবারের মতো। টার্গেট তখন ডাবল সেঞ্চুরি। আসাদ শফিক ছিলেন সাথে। একপ্রান্ত ধরে রেখে খেলে গেছেন। যোগ্য সাহচর্য দিয়েছেন মালিককে। ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপজ্জনক হতে দেননি মালিক। সবার জন্য সমীহ ছিল। কিন্তু এই অলরাউন্ডার খেলাটা ভালো বোঝেন। ধরে ধরে খেলেছেন। তারপর নিজের ফার্স্ট ক্লাস সর্বোচ্চ ২০০ রানকেও পার হয়ে গেছেন।
ফেরার অনেক রূপকথা আছে ক্রিকেটে। মালিকের এবারের ফেরাটাও তেমনই এক রূপকথা। ২০১০ সালের আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলেছেন। তারপর তার বিদায়ের শোক গাঁথা অনেকে লিখে ফেলেছিলেন। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স এই বছর সীমিত ওভারে মালিকের জায়গা ফিরিয়ে দেয়। দারুণ খেলতে থাকেন। বিশেষ করে ওয়ানডেতে চমক লাগানো পারফরম্যান্স ছিল। ওই পারফরম্যান্সের কারণেই কোচ ওয়াকার ১৬তম সদস্য হিসেবে মালিককে পাঠিয়েছেন আরব আমিরাতে। আর নিয়মিত ব্যাটসম্যান আজহার আলি ইনজুরিতে পড়ায় খেলার সুযোগ পান প্রথম টেস্টে। তারপর মালিক করলেন তা তো রূপকথার গল্পের মতোই! 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages