জগমোহন ডালমিয়ার চেয়ারে সৌরভ গাঙ্গুলিকে নাকি সরাসরি বসিয়ে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি- গতকাল বুধবার দুপুর থেকে এরকম একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে এ মর্মে ফোন আসতে শুরু করে। খবরটি আরও গতি পায় যখন ওইদিনই নবান্নে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে যান সৌরভ গাঙ্গুলি। এ সময় সঙ্গে ছিলেন ডালমিয়ার ছেলে অভিষেক।
নবান্ন থেকে বের হওয়ার সময় সিএবি সভাপতি হওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলো কিনা- জানতে চাইলে সৌরভ বলেন, "সবে তিন দিন হল উনি মারা গেছেন। আমরা সবাই শোকাহত। কে সভাপতি হবে, সেই আলোচনার এটা সঠিক সময় নয়। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথাও হয়নি।" তিনি কি সভাপতি হবেন?- এ প্রশ্নের জবাবে সৌরভ বলেন, "অনেকরকম জল্পনা–কল্পনা চলতেই পারে। এক্ষুণি এই নিয়ে ভাবার মতো জায়গায় আমি নেই।" অভিষেক ডালমিয়া বলেন, "আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসেছিলাম কৃতজ্ঞতা জানাতে। বাবার শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ করতে। বাবা মারা যাওয়ার পর উনি যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন- তা ভোলার নয়। এর বাইরে অন্য কোনও কথা হয়নি।"
মুখে সৌরভ যাই বলুন না কেন, সিএবি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে তিনি এখন অনেকটাই এগিয়ে। এখনও স্মরণসভা করে উঠতে পারেনি সিএবি বা ডালমিয়ার পরিবারের সদস্যরা। এরই মধ্যে সিএবি সভাপতির উত্তরসূরি খোঁজা শুরু হয়ে গেল। বোর্ড সভাপতির চেয়ার শূন্য, চেয়ার পূরণের জন্য ভারতীয় বোর্ড কর্তারা উদ্যোগ নিতে শুরু করেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আর সিএবি সভাপতির চেয়ারে বসানোর উদ্যোগ শুরু হতে লাগল ৭২ ঘণ্টা! এ তো সেই মেরা নাম জোকারের রাজকাপুরের বিখ্যাত ডায়ালগকে মনে করিয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি, 'শো মাস্ট গো অন'।
জীবিত থাকাকালে সিএবি'র অন্দরমহলের যাবতীয় ঝামেলা মিটিয়ে ছিলেন ডালমিয়া। মৃত্যুর মাস তিনেক আগেও অন্তত তিনবার সৌরভ ও কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-কে কেক খাইয়ে প্রকাশ্যে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন, অন্দরমহলে কোনও গণ্ডগোল নেই। এখন, তাঁর অনুপস্থিতিতে অশান্তির কঙ্কালটা বের হল বলে। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি ডাকলে, সবাইকে যেতে হয়। সৌরভও গেছেন আগে বহুবার। কিন্তু এমন খবর রটে গেল যে সৌরভকে সিএবি প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। যা শুনে সিএবি–তে বিস্ময়।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত যেমন বললেন, "এখন সৌরভ সচিব। সবে বসেছেন। চার বছরের মেয়াদ শেষ হোক। তখন না হয় প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন। তবে, যেহেতু আমি সবচেয়ে সিনিয়র, সভাপতি হতে আমার আপত্তি নেই।"
যুগ্মসচিব বাবলু গাঙ্গুলি বললেন, "মুখ্যমন্ত্রী যদি বলে দেন যে সৌরভ গাঙ্গুলিকে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসাবেন, তাহলে সবাইকে মেনে নিতে হবে। তবে, সামনের বছর তো নির্বাচনের দরজা খোলা থাকবে।" ক্ষোভ রয়েছে তাঁরও। কিন্তু, মন্তব্য করলেন বাস্তবের মাটিতে পা রেখে। সঙ্গে যোগ করলেন, "আমরা সবাই একটা দল করি। দলের নাম জগমোহন ডালমিয়া। সৌরভকে যদি মুখ্যমন্ত্রী সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকেন, তাহলে আমরা আশা করব, সৌরভ এসে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কথা আমাদের জানাবেন। আলোচনা হবে। তখনই তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।"
কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বললেন, "মুখ্যমন্ত্রী সত্যি যদি এরকম নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তাহলে তা আমাদের সদস্যদের জানাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন। সৌরভ গেছেন। কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন সবাই যে ওকে সভাপতি করার জন্যই ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আমার ধারণা, বিশ্বাসও বলতে পারেন, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি সিএবি'র অন্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন। হয়তো, প্রাথমিক ব্যাপারটা তিনি জেনে নিলেন আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম যুগ্মসচিবের কাছ থেকে।"
নবান্ন থেকে বের হওয়ার সময় সিএবি সভাপতি হওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হলো কিনা- জানতে চাইলে সৌরভ বলেন, "সবে তিন দিন হল উনি মারা গেছেন। আমরা সবাই শোকাহত। কে সভাপতি হবে, সেই আলোচনার এটা সঠিক সময় নয়। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথাও হয়নি।" তিনি কি সভাপতি হবেন?- এ প্রশ্নের জবাবে সৌরভ বলেন, "অনেকরকম জল্পনা–কল্পনা চলতেই পারে। এক্ষুণি এই নিয়ে ভাবার মতো জায়গায় আমি নেই।" অভিষেক ডালমিয়া বলেন, "আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসেছিলাম কৃতজ্ঞতা জানাতে। বাবার শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ করতে। বাবা মারা যাওয়ার পর উনি যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন- তা ভোলার নয়। এর বাইরে অন্য কোনও কথা হয়নি।"
মুখে সৌরভ যাই বলুন না কেন, সিএবি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে তিনি এখন অনেকটাই এগিয়ে। এখনও স্মরণসভা করে উঠতে পারেনি সিএবি বা ডালমিয়ার পরিবারের সদস্যরা। এরই মধ্যে সিএবি সভাপতির উত্তরসূরি খোঁজা শুরু হয়ে গেল। বোর্ড সভাপতির চেয়ার শূন্য, চেয়ার পূরণের জন্য ভারতীয় বোর্ড কর্তারা উদ্যোগ নিতে শুরু করেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আর সিএবি সভাপতির চেয়ারে বসানোর উদ্যোগ শুরু হতে লাগল ৭২ ঘণ্টা! এ তো সেই মেরা নাম জোকারের রাজকাপুরের বিখ্যাত ডায়ালগকে মনে করিয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি, 'শো মাস্ট গো অন'।
জীবিত থাকাকালে সিএবি'র অন্দরমহলের যাবতীয় ঝামেলা মিটিয়ে ছিলেন ডালমিয়া। মৃত্যুর মাস তিনেক আগেও অন্তত তিনবার সৌরভ ও কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে-কে কেক খাইয়ে প্রকাশ্যে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন, অন্দরমহলে কোনও গণ্ডগোল নেই। এখন, তাঁর অনুপস্থিতিতে অশান্তির কঙ্কালটা বের হল বলে। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি ডাকলে, সবাইকে যেতে হয়। সৌরভও গেছেন আগে বহুবার। কিন্তু এমন খবর রটে গেল যে সৌরভকে সিএবি প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। যা শুনে সিএবি–তে বিস্ময়।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত যেমন বললেন, "এখন সৌরভ সচিব। সবে বসেছেন। চার বছরের মেয়াদ শেষ হোক। তখন না হয় প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসবেন। তবে, যেহেতু আমি সবচেয়ে সিনিয়র, সভাপতি হতে আমার আপত্তি নেই।"
যুগ্মসচিব বাবলু গাঙ্গুলি বললেন, "মুখ্যমন্ত্রী যদি বলে দেন যে সৌরভ গাঙ্গুলিকে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসাবেন, তাহলে সবাইকে মেনে নিতে হবে। তবে, সামনের বছর তো নির্বাচনের দরজা খোলা থাকবে।" ক্ষোভ রয়েছে তাঁরও। কিন্তু, মন্তব্য করলেন বাস্তবের মাটিতে পা রেখে। সঙ্গে যোগ করলেন, "আমরা সবাই একটা দল করি। দলের নাম জগমোহন ডালমিয়া। সৌরভকে যদি মুখ্যমন্ত্রী সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকেন, তাহলে আমরা আশা করব, সৌরভ এসে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কথা আমাদের জানাবেন। আলোচনা হবে। তখনই তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।"
কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে বললেন, "মুখ্যমন্ত্রী সত্যি যদি এরকম নির্দেশ দিয়ে থাকেন, তাহলে তা আমাদের সদস্যদের জানাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন। সৌরভ গেছেন। কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন সবাই যে ওকে সভাপতি করার জন্যই ডেকে পাঠিয়েছিলেন। আমার ধারণা, বিশ্বাসও বলতে পারেন, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি সিএবি'র অন্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন। হয়তো, প্রাথমিক ব্যাপারটা তিনি জেনে নিলেন আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম যুগ্মসচিবের কাছ থেকে।"
No comments:
Post a Comment