‘জয় কেন সম্ভব হবে না?’ - All Technology

This is a Technology Blog site.If you have a desire to learn, but a repository of knowledge for you to this page.Now that the technology will continue to become more self-reliant development of the last corner.I will attempt to present something new for everyone.

Recent Posts

Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Tuesday, September 15, 2015

‘জয় কেন সম্ভব হবে না?’

সফরকারী অন্য দলগুলোর মতো শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দক্ষিণ দিকের ড্রেসিংরুমটাই ব্যবহার করবে অস্ট্রেলিয়া। তবে কাল সকালে যে ওই ড্রেসিংরুমের দেয়ালে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের খেলোয়াড় তালিকা সেঁটে দেওয়া হলো, তা স্মিথ-স্টার্কদের জন্য নয়। উদ্দেশ্য মুশফিক-সাকিবরা। বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে অন্দরসজ্জার কাজ চলছে বলে অনুশীলনের সময়টাতে যে এই ড্রেসিংরুমই তাঁদের ঠিকানা!
বাংলাদেশ সময় কাল সকালে ঘোষণা করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দল। অনুশীলনে আসার পথে মোবাইলের টাচ স্ক্রিনেই হয়তো তাতে চোখ বুলিয়ে নিয়েছেন কেউ কেউ। তারপরও কেউ যদি দলটা না দেখে থাকেন, তাঁদের কথা ভেবেই ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড় তালিকা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন কম্পিউটার বিশ্লেষক নাসির আহমেদ। অনুশীলনে নামার আগে কোচ-খেলোয়াড়েরা সেটার সামনে জটলা করলেন।
নাহ্, সেই অর্থে কোনো চমক নেই। মিচেল জনসন ও জশ হ্যাজলউডকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা আগেই শোনা গেছে। দলে নতুন মুখ থাকতে পারে, সেই ধারণাও সত্যি করেছে অ্যান্ড্রু ফেকেটে ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটের উপস্থিতি। ড্রেসিংরুমে হাথুরুসিংহে-মুশফিক-সাকিবদের কথায় তাই আলাদা করে স্থান পেলেন না অস্ট্রেলিয়ার কোনো ক্রিকেটার। প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষের একাদশ কেমন হতে পারে, আলোচনার বিষয় ছিল সেটাই। সঙ্গে খেলোয়াড়দের মনে দোলা দিয়ে গেছে একটা স্বপ্নও। স্বপ্নটা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের।
তবে সেই স্বপ্নের কথা প্রকাশ পেল অনেক পরে। মাঝখানে ফিটনেস ট্রেনিং হলো, নেট প্র্যাকটিসও। বিকেলে সেখান থেকে ফিরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় প্রথমে এল অস্ট্রেলিয়া দল সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন, ‘এ রকম একটা দলই প্রত্যাশিত ছিল। আমাদের যা অনুমান ছিল, তাদের প্রায় সবাই আসছে।’ অস্ট্রেলিয়ার ১৫ সদস্যের দলে দুই নতুন মুখ ফেকেটে ও ব্যানক্রফট সম্পর্কেই শুধু ধারণা নেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।
মুশফিকের দৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়া দলের নিউক্লিয়াস হচ্ছেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। স্পিনারদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অবশ্য অফ স্পিনার নাথান লায়নের কথা বললেন আলাদা করে, ‘স্পিনে ওরা দুর্বল নয়। লায়নের রেকর্ড দেখুন। আমার মনে হয়, ও এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা তিন স্পিনারের একজন। আমাদের দলে অনেক বাঁহাতি। বাঁহাতিদের বিপক্ষে সে অনেক কার্যকর। অবশ্য আমাদেরও কিছু পরিকল্পনা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ইমরান তাহিরের বিপক্ষে যেমন ছিল, এখানেও চেষ্টা থাকবে তাঁকে যতটা কম সম্ভব উইকেট দিতে।’
অস্ট্রেলিয়ার দল ঘোষণার দিন জয়ের আশাবাদটা মুশফিক ছড়িয়ে দিলেন এর পরই। ওয়ানডেতে একটার পর একটা সাফল্য টেস্ট-স্বপ্নের দিগন্তও দিয়েছে বাড়িয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নতুন কিছু করার আশার কথা আগেই বলেছেন কোচ। কাল অধিনায়কের কণ্ঠেও সেই প্রতিধ্বনি, ‘অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর এর চেয়ে বড় সুযোগ আর হয় না।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয়! কথাটা বিশ্বাস করে বললেন তো মুশফিক? নাকি সব সিরিজের আগে সব দলের অধিনায়কেরা যে রকম বলেন, সে রকমই বলার জন্য বলা? মুশফিক প্রতিবাদী, ‘জয় কেন সম্ভব হবে না? এখানে আবেগের কিছু নেই।’ অধিনায়ককে প্রেরণা জোগাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগের হোম সিরিজের স্মৃতিও, ‘২০০৬-এ ওদের যে দল ছিল, তা সর্বকালের সেরা দলের একটা। অনেকে তো বলেছিলেন, আমরা চার দিনও খেলতে পারব না। সেই দলের বিপক্ষে এত কাছে গিয়ে হারলে এই দলকে হারাতে পারব না কেন? টেস্টে হয়তো আমরা এখনো ওয়ানডের মতো হইনি, তারপরও দলটা যে জায়গায় এসেছে, একটু বেশি আশা করাই যায়।’
সেটি কি অস্ট্রেলিয়ার দলটা এমন অনভিজ্ঞ বলেই? মুশফিক অবশ্য এটাকেই একমাত্র কারণ মনে করেন না, ‘এমন নয় যে তরুণ দল এখানে এলেই হারবে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার তো সব সেরা খেলোয়াড়ই এসেছিল। তারপরও তারা হেরেছে। মূল ব্যাপার হলো, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছিলাম এবং ধারাবাহিক ছিলাম। আমাদের কাজ ভালো এবং ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলা। সবাই ভালো খেলছি বলেই সারা দেশে এই প্রত্যাশার জন্ম নিচ্ছে, আমাদের এখানে যারাই আসবে, তাদেরই আমরা হারাব।’
পার্থক্য বলতে এত দিন মূলত ওয়ানডে ঘিরে আবর্তিত ছিল এই প্রত্যাশা, এবার যা ছড়িয়ে পড়েছে টেস্ট ম্যাচেও।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages