ফ্যাশনটা চলমান। আর তাই কয়েক দিন আগে ছেলেদের পোশাকে যে ‘গাঢ় একরঙ’ আসন গেড়ে বসেছিল, আজ তা একটু বেমানান। সে জায়গায় এবার ফিরে এসেছে ষাটের দশকের স্টাইল। ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরুখ আমিন মনে করেন, ছেলেদের পোশাকে এখন প্রিন্টের জয়জয়কার। তাই বলে একসঙ্গে সবকিছুতেই প্রিন্ট পরলে আবার হাস্যকর দেখাবে। শার্ট বা প্যান্টের ক্ষেত্রে একটা প্রিন্টের হলে আরেকটা সাধারণ রং হলে স্মার্ট দেখাবে। প্রিন্টের মধ্যে আবার ফুলেল মোটিফের দেখা মিলছে বেশি। আর ক্যাজুয়াল পোশাকেই তো ছেলেদের বেশি সুদর্শন দেখায়।
ফ্যাশনে যেহেতু ষাটের দশকের স্টাইলটা ফিরে এসেছে, তাই এ নিয়ে কথা হলো বাংলা চলচ্চিত্রে ষাট-সত্তর দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তখন কিন্তু আমাদের রুপালি পর্দার বাইরে, লোকজনকে দেখানোর খুব বেশি সুযোগ ছিল না। দেশে বিনোদনের পত্রিকা বা ম্যাগাজিনও ছিল হাতে গোনা। বিদেশি ম্যাগাজিনও সহজলভ্য ছিল না। তারপরও ফিল্মফেয়ারসহ এক-দুইটা ম্যাগাজিন পেলেই সেখান থেকে কোনো পোশাক দেখে ভালো লাগলে তৈরি করে নিতাম।’
চরিত্রের জন্য বিভিন্ন পোশাক পরলেও টি-শার্ট পরা হতো না রাজ্জাকের। চরিত্র বুঝে পোশাকের ধারণা দিতেন ডিজাইনারকে। বললেন, ‘নানা ধরনের ক্যাজুয়াল শার্ট পরতাম। কখনো হাতা গুটিয়ে, দুই একটা বোতাম খোলা রেখে।’
ফ্যাশনে যেহেতু ষাটের দশকের স্টাইলটা ফিরে এসেছে, তাই এ নিয়ে কথা হলো বাংলা চলচ্চিত্রে ষাট-সত্তর দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তখন কিন্তু আমাদের রুপালি পর্দার বাইরে, লোকজনকে দেখানোর খুব বেশি সুযোগ ছিল না। দেশে বিনোদনের পত্রিকা বা ম্যাগাজিনও ছিল হাতে গোনা। বিদেশি ম্যাগাজিনও সহজলভ্য ছিল না। তারপরও ফিল্মফেয়ারসহ এক-দুইটা ম্যাগাজিন পেলেই সেখান থেকে কোনো পোশাক দেখে ভালো লাগলে তৈরি করে নিতাম।’
চরিত্রের জন্য বিভিন্ন পোশাক পরলেও টি-শার্ট পরা হতো না রাজ্জাকের। চরিত্র বুঝে পোশাকের ধারণা দিতেন ডিজাইনারকে। বললেন, ‘নানা ধরনের ক্যাজুয়াল শার্ট পরতাম। কখনো হাতা গুটিয়ে, দুই একটা বোতাম খোলা রেখে।’
ফ্যাশন হাউস রে-লু-সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এস এম সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘ক্যাজুয়াল শার্টের মধ্যে শোল্ডার টেপ ও দুই পকেটের স্টাইলে আছে নতুনত্ব। কম্বো প্যাচে (একাধিক কাপড়ের নকশা) তৈরি নানা ধরনের টি-শার্টে ব্যবহার করা হচ্ছে হালকা রং। এর সঙ্গে মিলিয়ে একটা শর্টস বা থ্রি কোয়ার্টার আর পায়ে মোকাসিন পরলেই স্মার্ট দেখাবে।’ ক্যাজুয়াল স্টাইলে ধরাবাঁধা কোনো পোশাক কোড নেই, তাই বলে যা ইচ্ছে পরলেই যে ভালো দেখাবে, তেমনটা নয়।
ষাটের দশকে ফ্যাশন বা স্টাইল নিয়ে সারা বিশ্বের ভাবনাটা বুঝতে হ্যাপা পোহাতে হতো। অন্তর্জালের এই যুগে এটি মোটেও কষ্টকর নয়। আর তাই এখনকার তরুণেরা মুহূর্তেই জানতে পারেন তাঁর ফ্যাশন আইকন তারকা কোন স্টাইলটা বেছে নিলেন। আর তাই সহজেই এর প্রভাব পড়ে দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোতে।
ছেলেদের পোশাকের ব্র্যান্ড ব্যাঙের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার সায়েম হাসান বলেন, ‘পোশাক নিয়ে আজকাল নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। যার অনেকটাই ক্রেতাদের চাহিদার ওপর নির্ভর করে। এটা তৈরি হয় আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড ধরে। এখন যেমন ক্যাজুয়াল পোশাকে নানা ধরনের প্রিন্টের চল বেড়েছে। ডট প্রিন্টের সঙ্গে যোগ হয়েছে জ্যামিতিক নকশাসহ নানা প্রিন্ট।’
চেক শার্টের চল কমেছে। সেই সঙ্গে বাদ পড়েছে লম্বা কাটের ফতুয়া। তার জায়গা দখল করে নিয়েছে কুল ও ডিপ ডাইংয়ের শার্ট, প্রিন্টের শার্টের কলার কিছুটা উঁচু হয়েছে। নতুন এই স্টাইলের নাম ‘নোয়া কলার’। গোল গলা ও কলার দুই ধরনের টি-শার্টই আছে। পুরোটা এক রঙের টি-শার্টের কলারে প্রিন্টের কাজ আবার গোল গলা হলে পকেটে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রিন্ট। সামার সোয়েটারও ক্যাজুয়ালে ভালো মানাবে।প্যান্টের মধ্যে ক্যাজুয়ালে জিনসের ফ্যাশন তো আছেই। তার সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে
চিনো প্যান্ট (গ্যাবার্ডিনের মধ্যেই নানা ধরনের স্টাইল)। ফ্যাশন হাউস ওটুস্বত্বাধিকারী জাফর ইকবাল বলেন, ‘প্যান্টে কার্গোর চল বাদ দিয়ে স্লিম ফিট ঢুকে পড়েছে। আর পোশাকের বাইরে পুরো গেটআপে ক্যাজুয়াল ভাব আনতে পায়ে থাকতে পারে মোকাসিন বা কেডস। কাপড়ের তৈরি প্রিন্টের মোকাসিনও আছে। সাধারণত মোকাসিন ফ্ল্যাট হলেও এবার মোকাসিনে যোগ হয়েছে হিল (উঁচু)। উঠতি তরুণেরা হাইনেক মোকাসিন পরলে দারুণ দেখাবে। মেয়েদের যেমন গোলাপি রংটা বিশেষ, ছেলেদের ক্ষেত্রে ধরা হয় নীল রং। তাই প্যান্ট বা শার্ট, টি-শার্টে নীল থাকলে ভালো দেখাবে।’ ক্যাজুয়াল পোশাকেই সন্ধ্যার দাওয়াতে বা বিকেলের আড্ডায় সাদামাটা একটা শার্টের ওপরে একটা কোটি চাপিয়েই নজর কাড়তে পারেন। আর যেহেতু ষাটের দশকের স্টাইল চলছে, তাই রোদচশমাটা হবে ওভার সাইজ বা বড়। ঘড়ির ডায়ালও বড় দেখে বেছে নিন। তবে পুরো স্টাইলটাতে যেন বৈপরীত্য (কনট্রাস্ট) থাকে। চুলগুলোতে এলোমেলো স্টাইলটাই ক্যাজুয়ালে ভালো দেখাবে।
ফ্যাশনে যেহেতু ষাটের দশকের স্টাইলটা ফিরে এসেছে, তাই এ নিয়ে কথা হলো বাংলা চলচ্চিত্রে ষাট-সত্তর দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা রাজ্জাকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তখন কিন্তু আমাদের রুপালি পর্দার বাইরে, লোকজনকে দেখানোর খুব বেশি সুযোগ ছিল না। দেশে বিনোদনের পত্রিকা বা ম্যাগাজিনও ছিল হাতে গোনা। বিদেশি ম্যাগাজিনও সহজলভ্য ছিল না। তারপরও ফিল্মফেয়ারসহ এক-দুইটা ম্যাগাজিন পেলেই সেখান থেকে কোনো পোশাক দেখে ভালো লাগলে তৈরি করে নিতাম।’
চরিত্রের জন্য বিভিন্ন পোশাক পরলেও টি-শার্ট পরা হতো না রাজ্জাকের। চরিত্র বুঝে পোশাকের ধারণা দিতেন ডিজাইনারকে। বললেন, ‘নানা ধরনের ক্যাজুয়াল শার্ট পরতাম। কখনো হাতা গুটিয়ে, দুই একটা বোতাম খোলা রেখে।’

চরিত্রের জন্য বিভিন্ন পোশাক পরলেও টি-শার্ট পরা হতো না রাজ্জাকের। চরিত্র বুঝে পোশাকের ধারণা দিতেন ডিজাইনারকে। বললেন, ‘নানা ধরনের ক্যাজুয়াল শার্ট পরতাম। কখনো হাতা গুটিয়ে, দুই একটা বোতাম খোলা রেখে।’
ফ্যাশন হাউস রে-লু-সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এস এম সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘ক্যাজুয়াল শার্টের মধ্যে শোল্ডার টেপ ও দুই পকেটের স্টাইলে আছে নতুনত্ব। কম্বো প্যাচে (একাধিক কাপড়ের নকশা) তৈরি নানা ধরনের টি-শার্টে ব্যবহার করা হচ্ছে হালকা রং। এর সঙ্গে মিলিয়ে একটা শর্টস বা থ্রি কোয়ার্টার আর পায়ে মোকাসিন পরলেই স্মার্ট দেখাবে।’ ক্যাজুয়াল স্টাইলে ধরাবাঁধা কোনো পোশাক কোড নেই, তাই বলে যা ইচ্ছে পরলেই যে ভালো দেখাবে, তেমনটা নয়।
ষাটের দশকে ফ্যাশন বা স্টাইল নিয়ে সারা বিশ্বের ভাবনাটা বুঝতে হ্যাপা পোহাতে হতো। অন্তর্জালের এই যুগে এটি মোটেও কষ্টকর নয়। আর তাই এখনকার তরুণেরা মুহূর্তেই জানতে পারেন তাঁর ফ্যাশন আইকন তারকা কোন স্টাইলটা বেছে নিলেন। আর তাই সহজেই এর প্রভাব পড়ে দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোতে।

চেক শার্টের চল কমেছে। সেই সঙ্গে বাদ পড়েছে লম্বা কাটের ফতুয়া। তার জায়গা দখল করে নিয়েছে কুল ও ডিপ ডাইংয়ের শার্ট, প্রিন্টের শার্টের কলার কিছুটা উঁচু হয়েছে। নতুন এই স্টাইলের নাম ‘নোয়া কলার’। গোল গলা ও কলার দুই ধরনের টি-শার্টই আছে। পুরোটা এক রঙের টি-শার্টের কলারে প্রিন্টের কাজ আবার গোল গলা হলে পকেটে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রিন্ট। সামার সোয়েটারও ক্যাজুয়ালে ভালো মানাবে।প্যান্টের মধ্যে ক্যাজুয়ালে জিনসের ফ্যাশন তো আছেই। তার সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে
চিনো প্যান্ট (গ্যাবার্ডিনের মধ্যেই নানা ধরনের স্টাইল)। ফ্যাশন হাউস ওটুস্বত্বাধিকারী জাফর ইকবাল বলেন, ‘প্যান্টে কার্গোর চল বাদ দিয়ে স্লিম ফিট ঢুকে পড়েছে। আর পোশাকের বাইরে পুরো গেটআপে ক্যাজুয়াল ভাব আনতে পায়ে থাকতে পারে মোকাসিন বা কেডস। কাপড়ের তৈরি প্রিন্টের মোকাসিনও আছে। সাধারণত মোকাসিন ফ্ল্যাট হলেও এবার মোকাসিনে যোগ হয়েছে হিল (উঁচু)। উঠতি তরুণেরা হাইনেক মোকাসিন পরলে দারুণ দেখাবে। মেয়েদের যেমন গোলাপি রংটা বিশেষ, ছেলেদের ক্ষেত্রে ধরা হয় নীল রং। তাই প্যান্ট বা শার্ট, টি-শার্টে নীল থাকলে ভালো দেখাবে।’ ক্যাজুয়াল পোশাকেই সন্ধ্যার দাওয়াতে বা বিকেলের আড্ডায় সাদামাটা একটা শার্টের ওপরে একটা কোটি চাপিয়েই নজর কাড়তে পারেন। আর যেহেতু ষাটের দশকের স্টাইল চলছে, তাই রোদচশমাটা হবে ওভার সাইজ বা বড়। ঘড়ির ডায়ালও বড় দেখে বেছে নিন। তবে পুরো স্টাইলটাতে যেন বৈপরীত্য (কনট্রাস্ট) থাকে। চুলগুলোতে এলোমেলো স্টাইলটাই ক্যাজুয়ালে ভালো দেখাবে।
No comments:
Post a Comment