মরুভূমিতে শুধু পিঁপড়া খেয়েই জীবন ধারণ! - All Technology

This is a Technology Blog site.If you have a desire to learn, but a repository of knowledge for you to this page.Now that the technology will continue to become more self-reliant development of the last corner.I will attempt to present something new for everyone.

Recent Posts

Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Thursday, October 15, 2015

মরুভূমিতে শুধু পিঁপড়া খেয়েই জীবন ধারণ!

ধু ধু মরুভূমিতে ছয়দিন শুধু পিঁপড়া খেয়েই বাঁচলেন এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়াতে।রেগ ফজার্ডি একজন শখের শিকারি। কিন্তু হঠাত্‍ ঝোঁক চেপেছিল উট দেখার। মানে ধরার। তাই বাক্স-প্যাঁটরা বেঁধে, এক বুধ-সন্ধ্যায় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ভিক্টোরিয়া মরুভূমির উদ্দেশে। সঙ্গী ছিল ভাই। প্রথমদিন উটের দেখা না মেলায় হতোদ্যম হয়ে ক্যাম্পে ফিরছিলেন তারা। তখনই বেহদিশ হয়ে যান ৬২ বছরের রেগ। একে জনমানবহীন এলাকা। তার উপর তাপমাত্রার বেপরোয়া ওঠানামা। দিনে যেমন অসহ্য গরম, রাতে তেমনই মারাত্মক ঠান্ডা। শুধু কি তাই? খাদ্য বা জল, কোনও কিছুরই সংস্থান নেই।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানাচ্ছে, মরুভূমিতে নিখোঁজ হওয়ার সময় রেগের পরনে ছিল টি-শার্ট আর শর্টস। ছিল মাথায় টুপি, পায়ে জুতো। ভাইয়ের দেখা না পেয়ে প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেন রেগ। পরে হারিয়ে গিয়েছেন বুঝতে পেরে হতোদ্যম হয়ে বসে পড়েন একটি গাছের নিচে। শেষবার ভাইকে সেখানেই দেখেছিলেন রেগ। গাছের নিচে বসে থাকার সময় অন্ন-জল ছাড়া থাকায় বার বারই জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলেন রেগ। হঠাৎই তাঁর চোখ পড়ে, তাঁকে চারপাশে জড়ো হয়েছে কালো পিঁপড়ার স্তূপ। খিদে-তেষ্টার জ্বালায় পাগলপ্রায় রেগ সেগুলিকেই সটান উদরে চালান করতে শুরু করেন।

বিশেষত, শেষ দুই দিনে শুধুমাত্র এই পিঁপড়া-ডায়েট-ই অস্তিত্বরক্ষা করেন রেগ। লাঞ্চ হোক বা ডিনার, দিনে-রাতে এভাবেই গ্রেট ভিক্টোরিয়া মরুভূমির মুঠো মুঠো কালো পিঁপড়া চিবিয়েই প্রাণ বাঁচিয়ে রাখেন নিরুপায় রেগ। ছয় দিন পর, মঙ্গলবার সকালে উদ্ধারকারী দল খুঁজে পায় রেগকে। গাছতলায় বসা রেগ ততক্ষণে অর্ধমৃত। শ্বাস চলছে ঢিমে গতিতে। নাড়ি দুর্বল। ভুল বকছেন। সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত চিকিৎসকরা তাঁকে তরল পথ্য ও ওষুধপত্র দেন। কিছুটা ধাতস্থ হলে বিমানে উড়িয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন রেগ ফজার্ডি। তবে স্রেফ মিরাকল না ইচ্ছাশক্তির জোরেই এই ঘটনা ঘটালেন রেগ, তা কিন্তু বিতর্কযোগ্য বিষয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages