প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া, পরের দুটি ইংল্যান্ড—ওল্ড ট্রাফোর্ডে কাল সিরিজের পঞ্চম ম্যাচটা তাই হয়ে গিয়েছিল অলিখিত ফাইনাল। সেই ফাইনাল শুধু নামেই, আসলে ম্যাচটা হলো একতরফা। যে সিরিজে আগের প্রায় সব ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দলটি তিন শর কাছাকাছি রান তুলেছে, সেখানে ১৩৮ করে জয়ের স্বপ্ন দেখা ইংল্যান্ডের জন্য বাড়াবাড়িই হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া সেই সুযোগই দিল না। মাত্র ২৪.২ ওভারেই এটি টপকে গেছে তারা, সেটাও ৮ উইকেট হাতে রেখে। ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেই তাই দীর্ঘ ইংল্যান্ড সফর শেষ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ানদের। একই ব্যবধানে অ্যাশেজ হারের পর এটা সান্ত্বনার প্রলেপ হতে পারে স্মিথদের জন্য।
ইংল্যান্ডের জন্য অবশ্য সিরিজ হারের চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা হয়ে উঠেছে অধিনায়ক এউইন মরগানের চোট। জন হ্যাস্টিংস আর মিচেল মার্শের তোপে পড়ে ২২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক মরগানকে তাই নামতে হয় চতুর্থ ওভারেই। ফিরতেও সময় লাগল না। মুখোমুখি হওয়া ষষ্ঠ বলটিই ছিল মিচেল স্টার্কের ৯০ মাইলেরও বেশি গতির বাউন্সার। সেটিই ছোবল দিল মরগানের হেলমেটে। কিছুক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। মাঠে ছুটে এলেন ইংল্যান্ড দলের চিকিৎসকেরা। ওঁদের সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন মরগান, আর ফেরা হয়নি। ওয়ানডে সিরিজে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেই সর্বোচ্চ রান মরগানের। শুরুর ৩ উইকেটের চেয়েও তাই বড় ছিল তাঁকে হারানোর ধাক্কাটা। সেটি আর সামলাতে পারেনি ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো ৩৪ রানের জুটি গড়ে একটু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এ জুটির পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটিটা ৩২ রানের, নবম উইকেটে আদিল রশিদ ও রিস টপলির মধ্যে। স্টোকস, বেয়ারস্টো, মঈন আলী ও ডেভিড উইলিকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন মিচেল মার্শ।
তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২ রানেই জো বার্নসকে হারালে মনে হচ্ছিল নাটকীয় কিছু হলেও হতে পারে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। দশম ওভারে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ফিরেছেন দলকে ৩১ রানে রেখে। কিন্তু সেই ধাক্কা গায়েই লাগতে দেননি অ্যারন ফিঞ্চ ও জর্জ বেইলি। দুজনের ১০৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে হাসতে হাসতেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে ১৩৪ রান ও বল হাতে ৮ উইকেট ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার এনে দিয়েছে মিচেল মার্শকে। স্টার স্পোর্টস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৩৩ ওভারে ১৩৮ (রয় ৪, হেলস ৪, টেলর ১২, মরগান ১, স্টোকস ৪২, বেয়ারস্টো ১০, মঈন ৫, উইলি ০, রশিদ ৩৫*, উড ১৩, টপলি ৬; স্টার্ক ১/৪৪, হ্যাস্টিংস ৩/২১, কামিন্স ০/৩৩, মার্শ ৪/২৭, অ্যাগার ১/১২)।অস্ট্রেলিয়া: ২৪.২ ওভারে ১৪০/২ (বার্নস ০, ফিঞ্চ ৭০*, স্মিথ ১২, বেইলি ৪১*; উইলি ১/১৩, টপলি ০/৩৩, উড ১/২৫, রশিদ ০/৩৪, মঈন ০/২৫)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৫-ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-২-এ জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিচেল মার্শ।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: মিচেল মার্শ
ইংল্যান্ডের জন্য অবশ্য সিরিজ হারের চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা হয়ে উঠেছে অধিনায়ক এউইন মরগানের চোট। জন হ্যাস্টিংস আর মিচেল মার্শের তোপে পড়ে ২২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক মরগানকে তাই নামতে হয় চতুর্থ ওভারেই। ফিরতেও সময় লাগল না। মুখোমুখি হওয়া ষষ্ঠ বলটিই ছিল মিচেল স্টার্কের ৯০ মাইলেরও বেশি গতির বাউন্সার। সেটিই ছোবল দিল মরগানের হেলমেটে। কিছুক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। মাঠে ছুটে এলেন ইংল্যান্ড দলের চিকিৎসকেরা। ওঁদের সঙ্গেই মাঠ ছাড়েন মরগান, আর ফেরা হয়নি। ওয়ানডে সিরিজে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেই সর্বোচ্চ রান মরগানের। শুরুর ৩ উইকেটের চেয়েও তাই বড় ছিল তাঁকে হারানোর ধাক্কাটা। সেটি আর সামলাতে পারেনি ইংল্যান্ড। বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো ৩৪ রানের জুটি গড়ে একটু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এ জুটির পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটিটা ৩২ রানের, নবম উইকেটে আদিল রশিদ ও রিস টপলির মধ্যে। স্টোকস, বেয়ারস্টো, মঈন আলী ও ডেভিড উইলিকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন মিচেল মার্শ।
তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ২ রানেই জো বার্নসকে হারালে মনে হচ্ছিল নাটকীয় কিছু হলেও হতে পারে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। দশম ওভারে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ফিরেছেন দলকে ৩১ রানে রেখে। কিন্তু সেই ধাক্কা গায়েই লাগতে দেননি অ্যারন ফিঞ্চ ও জর্জ বেইলি। দুজনের ১০৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে হাসতে হাসতেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে ১৩৪ রান ও বল হাতে ৮ উইকেট ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার এনে দিয়েছে মিচেল মার্শকে। স্টার স্পোর্টস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৩৩ ওভারে ১৩৮ (রয় ৪, হেলস ৪, টেলর ১২, মরগান ১, স্টোকস ৪২, বেয়ারস্টো ১০, মঈন ৫, উইলি ০, রশিদ ৩৫*, উড ১৩, টপলি ৬; স্টার্ক ১/৪৪, হ্যাস্টিংস ৩/২১, কামিন্স ০/৩৩, মার্শ ৪/২৭, অ্যাগার ১/১২)।অস্ট্রেলিয়া: ২৪.২ ওভারে ১৪০/২ (বার্নস ০, ফিঞ্চ ৭০*, স্মিথ ১২, বেইলি ৪১*; উইলি ১/১৩, টপলি ০/৩৩, উড ১/২৫, রশিদ ০/৩৪, মঈন ০/২৫)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৫-ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-২-এ জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিচেল মার্শ।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: মিচেল মার্শ
No comments:
Post a Comment