‘অস্ট্রেলিয়াকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে বাংলাদেশ’ - All Technology

This is a Technology Blog site.If you have a desire to learn, but a repository of knowledge for you to this page.Now that the technology will continue to become more self-reliant development of the last corner.I will attempt to present something new for everyone.

Recent Posts

Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Sunday, September 13, 2015

‘অস্ট্রেলিয়াকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে বাংলাদেশ’

প্রায় এক দশক পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের অধীনে যে অস্ট্রেলিয়া এসেছিল, সেটির সঙ্গে এবারের স্টিভ স্মিথের দলের ঢের পার্থক্য। অন্যদিকে ঘরের মাঠে একের পর এক সাফল্যে দারুণ ছন্দে রয়েছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়াকে এবার বাংলাদেশ শক্ত চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দেবে বলে মনে করছে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম।
টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান দুই, বাংলাদেশ নয়ে। র‍্যাঙ্কিং, ইতিহাস ও ঐতিহ্যে যতই দুদলের পার্থক্য থাকুক না কেন, এবার বাংলাদেশের মাটিতে স্মিথদের কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে বলে মনে করছে সিডনি মরনিং হেরাল্ড। শীর্ষ এই পত্রিকাটিতে ক্রীড়া সাংবাদিক জেসে হোগান লিখেছেন, এক দশক আগে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই ‘টপ ডগ বনাম আন্ডার ডগ’ হলেও এবার ল​ড়াইটা যেন ‘সমানে-সমানে’র আকার নিতে শুরু করেছে। বিশ্বকাপে প্রথমবারের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পর পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। হোগান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বড় সাফল্য মূলত সাদা বলে। এবার তারা সাফল্যের প্রতিফলন ঘটাতে চায় লাল বলেও।’
২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া যখন বাংলাদেশে এসেছিল, স্বাগতিকেরা তখন হোঁচট খেতে খেতে এগোচ্ছিল ক্রিকেটের বড় সংস্করণে। রিকি পন্টিংয়ের দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ঘরের মাঠে ১৯ টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছিল মাত্র একটিতে। ড্র দুটিতে। এই তিনটিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ১৬টি হারও বিরাট ব্যবধানে। নয়টিই ইনিংস ব্যবধানে। সবচেয়ে ‘কম’ ব্যবধানে হার ছিল ৭ উইকেট ও ২২৬ রানে।
প্রায় এক দশক পরও ঘরের মাঠে টেস্টে জয়ের তালিকায় জিম্বাবুয়ে বাদে যোগ হয়নি আর কোনো দল। তিনটি টেস্টই জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে ড্রয়ের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখ করার মতোই। ঘরের মাঠে খেলা ৩০ টেস্টের এক-তৃতীয়াংশ ড্র করেছে। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের বিপক্ষে দুটি করে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি করে ড্র। তবে কিছু ড্রয়ে ছিল বৃষ্টির অবদান।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উন্নতিও চোখে পড়ার মতো। পাঁচ টেস্ট ব্যাটসম্যানের গড় আছে ৩৫-এর ওপরে। সবচেয়ে বেশি মুমিনুল হকের। ১২ টেস্টে তাঁর গড় ৬৬.২৪। বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকও পারফর্ম করছেন নিয়মিত। পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঘনঘন ওঠা-নামা করলেও দীর্ঘদিন দলকে সেবা দেওয়া তামিম ইকবাল নিজের জাত ভালোভাবে চিনিয়েছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করে।
কেবল ব্যাটসম্যানরা নন, নিয়মিত জ্বলে উঠছেন বোলাররাও। তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেনের মতো পেসাররা ছন্দে রয়েছেন। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান তো হইচই ফেলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই। অভিষেক টেস্টে চার বলে হাশিম আমলা, জেপি ডুমিনি ও কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া যখন বাংলাদেশ সফর করেছিল, দলের ১৪ সদস্যের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল ৬৭২ টেস্ট খেলা। বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করা পন্টিংয়ের দল সেবার ফতুল্লা টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জিতেছিল তিন উইকেটে। পরের ম্যাচে অবশ্য জেসন গিলেস্পির ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে ইনিংস ও ৮০ রানের ব্যবধানে বিরাট জয়। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। মাইকেল ক্লার্ক, শেন ওয়াটসনের অবসরের পর ডেভিড ওয়ার্নারের চোট নতুন চেহারার দল নিয়ে বাংলাদেশ আসা অস্ট্রেলিয়া দলের সম্মিলিত টেস্ট অভিজ্ঞতা ২০০৬-সালের অর্ধেকেরও কম হবে। সেখানে বাংলাদেশ দলে রয়েছে বেশ কজন অভিজ্ঞ টেস্ট খেলোয়াড়। মুশফিক, সাকিব, তামিমের রয়েছে ৪০-এর বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা।
আরও একটি বিষয় ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য—দলের সমন্বয়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল যে দল, তার সঙ্গে এবারের অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডের অনেক অমিল থাকবে। বেশির ভাগ সদস্যদের কাছে অপরিচিত এ কন্ডিশন। আর অপরিচিত কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া দলের কেমন ত্রাহি দশা হয়, গত বছর আরব আমিরাতে পাকিস্তানের কাছে ধবল-ধোলাই হওয়ার পর বোঝা গেছে।
পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। আর এ পরিবর্তন বাংলাদেশ দলকে হাতছানি দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় অর্জনের।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages